খুঁজুন
                               
বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩২
           

যে ‘নিয়ম ভেঙে’ সৌদি আরবকে বিশ্বকাপ দিল ফিফা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
যে ‘নিয়ম ভেঙে’ সৌদি আরবকে বিশ্বকাপ দিল ফিফা

২০৩৪ বিশ্বকাপ ফুটবল যে সৌদি আরবে হচ্ছে সেটি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল গত বছর অক্টোবরেই। আয়োজক হওয়ার দৌড়ে যে শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিই ছিল। যে আনুষ্ঠানিকতাটুকু বাকি ছিল, সেটিও হয়ে গেছে কাল। ফিফার কংগ্রেসে ২০৩০ ও ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক বেছে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়েছে। তবে সেটি করতে গিয়ে ফিফার নিজেদের নিয়ম ভেঙেছে বলে দাবি করেছেন সমালোচকেরা। কীভাবে সেই ব্যাখ্যাও তারা দিয়েছেন।
ফিফার নিয়মানুযায়ী ২১১ সদস্য ভোট দিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন করে। প্রতিবার একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় ভোটের যুদ্ধটা বেশ জমেও ওঠে। তবে এবার ফিফা একই সঙ্গে দুটি বিশ্বকাপের আয়োজক বেছে নিয়েছে। আর সেটি করতে গিয়ে অভিনব ব্যবস্থাই করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২০৩০ ও ২০৩৪-এই দুই বিশ্বকাপের স্বাগতিক মাত্র একটি ভোটেই নির্ধারণ করেছে ফিফা।

২০৩০ বিশ্বকাপ হবে তিন মহাদেশের ছয়টি দেশে। দেশগুলো যৌথভাবেই আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিল। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল না। আর ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সৌদি আরব। ‘মানবাধিকার’ প্রশ্নে সৌদি আরবকে যেন কোন দেশ ‘না’ ভোট না দেয় সেটি নিশ্চিত করতেই কিনা ফিফা বলে দেয়, হ্যাঁ ভোট মানে দুই বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চাওয়াদের সমর্থন, আর না ভোট মানে দুই বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চাওয়াদের বিরুদ্ধে ভোট। যার অর্থ কোনো দেশ যদি সৌদি আরবকে আয়োজক হিসেবে দেখতে না চায়, তবে তারা মরক্কো-স্পেন-পর্তুগাল-আর্জেন্টিনা-চিলি-প্যারাগুয়ের যৌথ আয়োজনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
তবে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ব্যালটও ব্যবহার করেনি ফিফা। অনলাইনে হওয়া কংগ্রেসে নির্দেশনা দেওয়া হয় কোনো বিতর্ক ছাড়াই ‘হাত উঁচিয়ে’ নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার। ভোটাররা দুই বিশ্বকাপের আয়োজক হতে আগ্রহীদের নাম শোনার পর হাততালি দিয়েই সমর্থন জানিয়েছেন।

সমালোচকেরা আইন ভঙ্গের কথা বললেও ফিফা কিছুদিন আগে নিয়ম পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দিয়েছিল। তারা বলেছিল সব কনফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলেই পরিবর্তনটা করা হয়েছে। তবে কেন দুই বিশ্বকাপের আয়োজক বেছে নেওয়ার ভোট একবারে নেওয়া হবে, সেই ব্যাখ্যা দেয়নি ফিফা।

মোটামুটি আগেভাগেই নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় এবার আয়োজক হওয়া নিয়ে তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল না। ফিফার সদর দপ্তরে কাল কয়েকজন সৌদি সাংবাদিক ছাড়া সংবাদমাধ্যমের খুব বেশি প্রতিনিধি ছিলেন না। ছিলেন না দুটি বিশ্বকাপের আয়োজকদের কোনো প্রতিনিধিও।

সৌদি আরবের আয়োজক হওয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে কাল ফিফার সদর দপ্তরের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন সুইডেনের এক নাগরিক। এ ছাড়া প্রতিবাদ বলতে নরওয়ের অনুপস্থিতিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নরওয়ে আগেই বলেছিল, তারা অনলাইন কংগ্রেসে যোগ দেবে না।

জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স কক্সবাজার কমিটির পরিচিতি সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ণ
জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স কক্সবাজার কমিটির পরিচিতি সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স কক্সবাজার জেলার নবগঠিত কমিটির আয়োজনে পরিচিতি সভা ও জুলাই যুদ্ধে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮শে জুন) কক্সবাজার বাসটার্মিনাল সংলগ্ন বিএডিসি ভবনের হল কক্ষে নবকমিটির সদস্য ও জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নবগঠিত এই কমিটির সংগঠক মিনার হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কমিটির অন্যতম সংগঠক- শহিদ আহাসান হাবীবের চাচা মোঃ মাসুদ, খালিদ বিন সাঈদ, ইলিয়াছ মিয়া, আব্দুল হালিম,আতাহার সাকিব, ইসলাম মাহমুদ, শামশুল আলম শ্রাবণ, শাহেদ মোঃ লাদেন, আরিয়ান ফারাবি, সাঈদ স্বাধীন, আহাসানুল জুবাইর, ওয়াহিদ আমির, সাইফুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও যায়েদ বিন আমান।

বক্তারা বলেন জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ এবং চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত, সুন্দর ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে জুলাই রেভ্যুলুশনারি এলায়েন্স সারা বাংলাদেশে কাজ করবে। জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে যেমন সকল দল মত নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করে জালিম হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আগামীতে ও ঠিক তেমনি সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে একযোগে দেশের সমস্ত সংকটে এগিয়ে এসে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন। দ্রুত “জুলাই সনদ” ঘোষনার দাবী করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। দেশের সকল অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে সম্মুখে থেকে তা নির্মুলে সরকারকে সহায়তার ঘেষনা দেওয়া হয়। জেলার প্রকৃত হকারদের কাছে সৈকতের কিটকট ও ফিশ ফ্রাই কার্ড গুলো হস্তান্তরের দাবী করেন জেলা প্রশাসকের কাছে। শীঘ্রই জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্সের ব্যানারে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি একটি যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বক্তারা জানান।

সভার শেষে কক্সবাজার জেলার শহীদ আহসান হাবীবের চাচা মোহাম্মদ মাসুদ আজকের আয়োজিত পরিচিতি সভা ও জুলাই যুদ্ধের শহীদ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় মোনাজাত করে সমাপ্ত ঘোষণা করেন।


উল্লেখ্য জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ এবং চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত, সুন্দর ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে জুলাই রেভ্যুলুশনারি এলায়েন্স সারা বাংলাদেশে কাজ করছে।

নাফ নদীর পাড় থেকে স্বপ্নযাত্রা: ইয়াং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাবের এক দশকের সাফল্যগাঁথা ইতিহাস

রিয়াজ উদ্দিন
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৩:২০ পূর্বাহ্ণ
নাফ নদীর পাড় থেকে স্বপ্নযাত্রা: ইয়াং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাবের এক দশকের সাফল্যগাঁথা ইতিহাস

কক্সবাজার জেলার সীমান্ত শহর টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার ওয়াব্রাংয়ের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন ইয়াং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাবের দুই বছরের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিন্টু চলতি মাসের ২৩ জুন অফিসিয়াল প্যাডে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করেন।

২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাফর ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী রিয়াজ উদ্দিন। নতুন নেতৃত্বের এই দায়িত্ব গ্রহণ ক্লাবের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডে নতুন গতির সঞ্চার করবে এমনটাই প্রত্যাশা ওয়াব্রাং ও আশপাশের ক্রীড়াপ্রেমী তরুণদের।

গৌরবময় শুরুর গল্প:-
যেখানে নদী ছুঁয়েছে স্বপ্ন, সেখানেই জন্ম নিয়েছিল এক ক্রীড়াচর্চার বিপ্লব, এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০১৩ সালে কক্সবাজারের দক্ষিণের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফের নাফ নদীর তীর ঘেঁষে ওয়াব্রাং এর মোহাম্মদ ইলিয়াস মিন্টু ও আশপাশের তরুণরা গড়ে তোলেন ইয়াং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবটি হয়ে ওঠে তরুণদের প্রেরণার কেন্দ্র, সাফল্যের প্ল্যাটফর্ম এবং একটি সুপরিচিত নাম।

জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে উজ্জ্বল অবদান:-
ফুটবল বিভাগে ক্লাবের খেলোয়াড়রা কক্সবাজার জেলা পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। উল্লেখযোগ্য নাম:
মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিন্টু, জাইনুল ইসলাম ড্যানি, শাহ নেওয়াজ, আয়ুব খান,কামাল হোসেন, আজিজুর রহমান, ইসমাইল হাজি, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল আমিন (কক্সবাজার অনূর্ধ্ব-১৭ জেলা ফুটবল দল)।

ক্রিকেট বিভাগেও রয়েছে প্রশংসনীয় পদচারণা:
মোঃ ইয়াছিন — চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেটার শাহেদুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটার

ধারাবাহিক টুর্নামেন্ট সাফল্য:–
মাত্র দুই বছরের মাথায় ক্লাবটি আলোচনায় আসে—
২০১৫ কানজর পাড়া গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ান
২০১৭ খারাংখালী গোল্ডকাপ — রানার্সআপ

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রথম বিভাগ গোল্ডকাপ রানার্সআপ ২০১৮
পশ্চিম সিকদার পাড়া গোল্ডকাপ — চ্যাম্পিয়ন
খারাংখালী গোল্ডকাপ

রানার্সআপ টেকনাফ সিলভার কাপ
পরবর্তী বছরগুলোতে
টেকনাফ ক্লাব সমিতির বিচ ফুটবল — রানার্সআপ

২০২৪ ব্রাদার্স ইউনিট আয়োজিত টুর্নামেন্ট — রানার্সআপ
২০২৫মৌলভীবাজার গোল্ডকাপ (৩য় আসর) — চ্যাম্পিয়ন
দ্বিতীয় আসরে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিন্টু ওয়াব্রাং টিমের হয়ে অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন হন।

শিক্ষা ও পেশাগত ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতি
ইয়াং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব শুধু খেলাধুলায় নয়— শিক্ষাক্ষেত্র ও পেশাগত সফলতাতেও রেখেছে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা:

মোঃ রফিক — চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক ডিফেন্ডার
দেলোয়ার হোসাইন — ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, মিডফিল্ডার
নুরুল আমিন — বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য, চট্টগ্রাম পুলিশ ফুটবল টিম
আবুল ফয়েজ — বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য ও ক্রিকেটার
শওকত আলী — চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
রিয়াজ উদ্দিন — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তিনবারের জাতীয় জুডো চ্যাম্পিয়ন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
আব্দুল হাকিম বুলবুল — চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
জাহেদুল ইসলাম — কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রিকেটার ইমরান খান — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রিকেটার ও নবীউল হাসান
ডেন্টিস , হ্নীলা ডেন্টাল কেয়ার।

এক দশকে অনুকরণীয় একটি প্রতিষ্ঠান
গ্রামের মাটিতে গড়ে ওঠা ইয়াং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব আজ এক অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান— যেখানে ক্রীড়া, শিক্ষা, নৈতিকতা, নেতৃত্ব ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে আগামীর তারকাদের।

ইয়াং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব আজ শুধু মাঠে নয়— চরিত্র গঠনে, নেতৃত্ব বিকাশে এবং দেশের জন্য প্রতিনিধিত্ব গড়তে এক নির্ভরযোগ্য নাম।

ভারতের হামলার জবাবে দুই বিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান: রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ
ভারতের হামলার জবাবে দুই বিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান: রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম

পাকিস্তানের পাঁচ জায়গায় ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের দুই বিমান ভূপাতিত করেছে। খবর দ্য ডনের